বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকে রূপচর্চা শুরু করুন। কারণ ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য অন্তত এক মাস সময় আপনাকে দিতে হবে। এই সময়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট নয়। ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক উপায়ে সেলফ কেয়ার করুন। তাহলে চলুন জেনে নেই কিছু ঘরোয়া রূপচর্চার উপায়।
১ মাসেই ব্রাইট স্কিন পেতে উপটান দারুণ কার্যকরী। সপ্তাহে ২ বার অ্যাপ্লাই করুন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
সব উপকরণ একসাথে মিক্স করে স্মুথ পেস্ট করুন। উপটান ফেইসে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ডাক সার্কেল, কালো দাগ দূর হবে। সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সানট্যান থাকলে সেটাও কমে আসবে।
ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে টেনশন? সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন নারিশিং ফেইস মাস্ক।
সবগুলো উপাদান একসাথে মিক্স করে ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন। ১৫ মিনিট রেখে ভালোভাবে ফেইস ধুয়ে নিন। এই উপাদানগুলো ত্বকে নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে এবং ত্বককে রাখে হেলদি।
যাদের স্কিন একটু বেশি অয়েলি এবং মাঝে মধ্যেই ফেইসে একনে দেখা দেয়, তাদের জন্য মুলতানি মাটির ফেইস মাস্ক খুব ভালো কাজ করে। যারা একনে প্রবলেম ফেইস করছেন তারা সপ্তাহে ২ বার এটি ইউজ করতে পারেন।
প্রথমে শসা খোসাসহ গ্রেট করে পানি বের করে নিন। তারপর একে একে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। মাস্ক ফেইসে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১৫ মিনিট পর আলতো হাতে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিয়ের আগে ঘরেই ফেসিয়াল করে নিতে পারেন। আর বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন রেগুলার ফলো করা কিন্তু মাস্ট। কোন কোন প্রোডাক্ট দিয়ে এই সময় আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন, সেটা দেখে নিন এখন-
ত্বকের কন্ডিশন বুঝে একটি ভালো মানের ক্লেনজার বেছে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ক্লিন করুন। মনে রাখবেন, অপরিষ্কার ত্বকই কিন্তু একনে, র্যাশ ও অন্যান্য স্কিন প্রবলেমের প্রধান কারণ। তাই সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
স্কিনের স্পেসিফিক কনসার্নকে টার্গেট করে কাজ করে সিরাম। সিরাম এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে এতে থাকা অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট খুব সহজেই স্কিনের ডিপ লেয়ারে প্রবেশ করতে পারে। অনেক ধরনের সিরাম আছে, এগুলোর একেকটির কাজ একেকরকম। তাই ত্বকের ধরন ও কনসার্ন বুঝে সেরা সিরামটি বেছে নিতে হবে। রেগুলার ইউজের জন্য ২/৩ ফোঁটা সিরামই যথেষ্ট। একনে প্রবলেম থাকলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, ওপেন পোরস কমাতে নিয়াসিনামাইড, ব্রাইটেনিং এর জন্য ভিটামিন সি বা আলফা আরবুটিন বেছে নিন।
ড্যামেজড হেয়ার নিয়ে চিন্তিত? ইদানিং এতো বেশি পল্যুশন, ধুলোময়লা; এতে আমাদের চুল খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিজি আর ড্রাই হয়ে যায়। সেই সাথে হিট প্রোটেকটর ছাড়া রেগুলার হিট স্টাইলিং, হেয়ার স্প্রে এর ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট- সব মিলিয়ে চুলের বারোটা বেজে যায়! কি ঠিক বললাম তো? সুস্থ, সুন্দর আর ঝলমলে চুল কীভাবে পাবো, এটাই সবথেকে বড় চিন্তা। মাত্র ১ মাসেই ড্যামেজড হেয়ার রিপেয়ার করা পসিবল! দেরি না করে জেনে নেই চলুন।
View More