এটি একটি জনপ্রিয় অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। এটি সাধারণত আমাদের ত্বকের কানেক্টিভ টিস্যুতে থাকে। এটার কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক হয়ে ওঠে ইয়াংগার লুকিং। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে শরীরে এর পরিমাণ কমতে থাকে, যার ফলাফল হিসেবে ত্বকে রিংকেল দেখা দিতে শুরু করে অর্থাৎ এজিং সাইনস চলে আসে। এজিং এর আলোচনা যখন আসে তখন কোলাজেনের নামটা খুব শোনা যায়। কারণ কোলাজেনের মূলেই আছে এই হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। এই উপাদানটি কোলাজেন বুস্ট আপ করতে হেল্প করে বলে স্কিন হয়ে ওঠে হেলদি। এছাড়া এর আরও অনেক বেনিফিট রয়েছে। আজ আমরা জনপ্রিয় এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানবো।
প্রথমেই বলে নেই এই উপাদানটি আমাদের স্কিনে ঠিক কীভাবে কাজ করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড তার নিজের ওজনের চেয়ে প্রায় ১০০০ গুণ বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে। যার মানে হচ্ছে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড একটি অসাধারণ হিউমিকট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ স্কিনের উপরিভাগে পানির কণাকে ধরে রেখে স্কিনকে হাইড্রেটেড ও ইয়ুথফুল দেখায়।
আমরা যখনই খুব ওয়েল ময়েশ্চারাইজড স্কিনের কথা চিন্তা করি, তখনই বুঝি যে স্কিন নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় উপাদান ধরে রেখেছে। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে স্কিনের এই ক্ষমতা কমতে শুরু করে এবং স্কিন থেকে পানি কমে যেতে থাকে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এখানে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। স্কিন থেকে পানি বা জলীয় উপাদান শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে বলে স্কিন অনেক হেলদি ও ইয়াংগার দেখায়।
এবার আসি হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের ঠিক কী কী উপকারে আসে সেই আলোচনায়।
স্কিনের হাইড্রেশন ধরে রাখার জন্য হায়ালুরোনিক অ্যাসিড খুবই কার্যকরী। ত্বকের প্রতিটি স্তরে যেয়ে সেলগুলোতে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে বলে স্কিন হয়ে ওঠে হেলদি। উপকারী এই ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত যে কোনো সিরাম, ক্রিম বা লোশন আপনি স্কিন কেয়ার রুটিনে রাখতে পারেন।
আপনার যদি ন্যাচারালি ড্রাই স্কিন হয়ে থাকে তাহলে স্কিনকেয়ার রুটিনে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড রাখাটা মাস্ট। এটি আর্দ্রতা ধরে রেখে স্কিন করে তোলে প্লাম্পি ও সফট।
স্কিনকেয়ারে ব্যবহার করা এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টটি স্কিনের সেল রিনিউয়ালে সাহায্য করে। নানা কারণে আমাদের স্কিনে প্রি ম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিতে পারে। যারা রিংকেলস ও ফাইন লাইনসের প্রবলেম থেকে দূরে থাকতে চান তারা অবশ্যই এই ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত প্রোডাক্ট চুজ করবেন। আর যাদের বয়স ত্রিশ ছুঁই ছুঁই তাদের জন্য এটি মাস্ট হ্যাভ। তবে এজিং সাইনস আগেই প্রিভেন্ট করার জন্য বয়ঃসন্ধিকাল থেকে এই উপাদানটি আপনি স্কিনকেয়ার রুটিনে ইনক্লুড করতে পারেন।
এই উপাদানটি যে ত্বককে শুধু প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন দেয় তাই নয়, এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ যা স্কিনকে সান ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। সূর্যরশ্মি থেকে আমাদের স্কিনে যে ফ্রি রেডিক্যালস তৈরি হয় সেগুলোকেও প্রিভেন্ট করতে হেল্প করে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড।
এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। স্কিনে যদি কোনো র্যাশ, একনে বা ইরিটেশন হয় সেক্ষেত্রে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড স্কিন সেই এফেক্টড এরিয়াতে বেশি করে ব্লাড ভেসেল তৈরির সিগনাল দেয়, এতে ঐ এরিয়া দ্রুত সেরে যায়।